কোরবানির যে বিষয়গুলো জানা জরুরি
ধর্ম ডেস্ক
প্রতীকী ছবি
কোরবানির পশুর রক্ত মাংস হাড় বা চামড়া কোনো কিছু মহান আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, বরং কোরবানি দাতার বিশুদ্ধ নিয়ত ও বৈধ ব্যবস্থাপনাই আল্লাহর কাছে পৌঁছে যায়।
ইসলামি শরিয়তের অন্যতম ইবাদত কোরবানি। তাই কোরবানির পশু কেনা ও কোরবানি করার আগে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো গুরুত্বসহ ভেবে দেখা জরুরি। আর তাহলো-
আরো পড়ুন>>> জিলহজ মাসের তাৎপর্য, ফজিলত ও করণীয়
গরিব ব্যক্তির কোরবানি ও করণীয়:
সামর্থবানদের জন্য কোরবানি আবশ্যক। তবে গরিব লোকের কোরবানি দেয়া নিষেধ নয়। চাইলে গরিবও কোরবানি দিতে পারবে। চাইলে একাকি কোরবানি দিতে পারবে আবার অংশীদারের সঙ্গেও কোরবানি দিতে পারবে। তবে গরিব ব্যক্তি যদি কোরবানির পশু কেনার সময় একাকি কোরবানির নিয়ত করে তাহলে পরে আর শরিক নিতে পারবে না।
তাই গরিবের ক্ষেত্রে কোরবানির পশু কেনার আগেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, সে একাকি কোরবানি করবে না শরিকে নেবে। পশু কেনার আগে শরিক নেয়া নিয়ত না থাকলে, পশু কেনার পরে শরিক নিতে পারবে না।
পক্ষান্তরে কোনো ধনী যদি পশু কেনার আগে শরিক নেয়ার নিয়ত না করে তবে ধনী ইচ্ছা করলে পশু কেনার পরও শরিক নিতে পারবে।
শরিক নেয়ার আগে ভেবে দেখুন:
কোরবানি অনেক ফজিলতপূর্ণ মর্যাদার ইবাদত। কয়েকজন মিলে কোরবানি দিতে চাইলে ভেবে দেখুন, অংশীদারের সমন্বয়ে যারা ককোরবানি দেবেন। তাদের পশু কেনার অর্থ বৈধ কিনা অবৈধ।
কোনো ব্যক্তির সব কিংবা আংশিক উপার্জনও যদি হারাম হয়, তবে ওই ব্যক্তিকে কোরবানির পশুর অংশীদার হিসেবে নিলে আর হারাম উপার্জনের অংশ দিয়ে কোরবানির পশু কিনলে অন্যদের হালাল পয়সার কেনা পশুর কোরবানিও নষ্ট হয়ে যাবে।
অংশীদার নির্বাচন:
পশু কেনার আগেই অংশীদার নির্বাচন করে নিন। ওয়াজিব কোরবানি আদায়ের নিয়তে এক গরু কিংবা মহিষে ৭ জন কোরবানি দিতে পারবে। তাছাড়া এর মধ্যে যদি কেউ নফল কোরবানিও দেয় তাতেও ৭ জনের বেশি শরিক নেয়া যাবে না। তবে ছাগল, বকরি বা দুম্বায় অংশীদার নয় বরং তা একাকি কোরবানি করতে হয়।
ঋণ করে কি কোরবানি করা যায়?
যদি কোনো ব্যক্তির ওপর কোরবানি আবশ্যক হয়। আর তার পশু কেনার মতো কাছে নগদ অর্থ না থাকে তবে সে সম্পদ বিক্রি করবে। আর যদি সম্পদ বিক্রি করতেও না চায় তবে সে ঋণ করে হলেও কোরবানি করবে। যেমনিভাবে সে অন্যান্য প্রয়োজন পূরণে ঋণ করে থাকে। যা পরবর্তীতে পরিশোধ করে দেবে।
কোরবানি করার আগে উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেয়া জরুরি। এর ব্যতয় ঘটলে কারো কোরবানিই বৈধ হবে না।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে কোরবানির পশু কেনার আগে কিংবা কোরবানির নির্ধারিত দিনগুলোর মধ্যে যথাযথ নিয়ম মেনে তা আদায় করার তাওফিক দান করুন। কোরবানির ঘোষিত ফজিলত, সাওয়াব ও মর্যাদা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।
নিউজওয়ান২৪.কম/আহনাফ
- যে দোয়ায় গলার কাঁটা নেমে যাবে ইনশাল্লাহ!
- ফরজ নামাজের পর প্রয়োজনীয় কিছু আমল
- দরুদে ইব্রাহিম
- মা-বাবার জন্য দোয়া
- তাহিয়্যাতুল-মাসজিদ
মসজিদে ঢুকেই দু’রাকাত নামাজ... - পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি...
- দরুদে ইব্রাহিম
- কোরআন হাদিসের আলোকে জুমা’র দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
- ঋণ মুক্তির সর্বোত্তম আমল
- ফজিলতপূর্ণ কিছু দোয়া ও আমলসমূহ
- পবিত্র কোরআনের তথ্যকণিকা
- জুমার দিনের ৩ আমল
- হযরত আদম আ. এর বিয়ের মহর কত ছিল!
- ফেরেশতা পরিচিতি...
- ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে’